গাজার নিউটন: বাস্তুচ্যুত কিশোরের বিদ্যুৎ উদ্ভাবন আলোকিত করছে শরণার্থী শিবির
মো: নূরে আলম, ঢাকা, বাংলাদেশ- গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নিরবিচ্ছিন্ন হামলার শিকার ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা। বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেশটিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে দখলদাররা। কিন্তু এই অন্ধকারে আলোর দিশা দেখিয়েছেন ১৫ বছর বয়সী বাস্তুচ্যুত কিশোর হুসাম আল-আত্তার।
রাফাহ সীমান্তের শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী হুসাম নিজের তাঁবুতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বায়ুশক্তি ব্যবহার করে একটি অভিনব পদ্ধতি তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, তার তৈরি বিদ্যুৎ পাশে-পাশের তাঁবুগুলোকেও আলোকিত করছে।
হুসামের এই প্রতিভা তাকে ‘গাজার নিউটন’ খ্যাতি এনে দিয়েছে।
হুসামের বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি
তাবুর পাশের একতলা ভবনের ছাদে দুটি ফ্যান স্থাপন করা হয়েছে।
বাজার থেকে সংগ্রহ করা পুরোনো বৈদ্যুতিক তার ফ্যানের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ছাদ থেকে টানা তার বৈদ্যুতিক বাতি ও সুইচ বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এই সহজ পদ্ধতিতে হুসাম তাঁবুতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছেন।
হুসামের উদ্ভাবনের প্রভাব
হুসামের উদ্ভাবন শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটে জর্জরিত শিবিরবাসীদের জন্য হুসামের তৈরি বিদ্যুৎ আশার আলো বয়ে এনেছে।
হুসামের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
হুসাম তার উদ্ভাবনকে আরও উন্নত করতে চান। ভবিষ্যতে তিনি শিবিরের সকল তাঁবুতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার স্বপ্ন দেখেন।
হুসামের গল্প
হুসাম ইসরায়েলি আগ্রাসনে পরিবারের সাথে বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছিল তার। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা শুরু করেন।
হুসামের বার্তা
হুসামের বার্তা স্পষ্ট, “অন্ধকারে থাকলেও হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না।”
হুসাম আল-আত্তার একজন অদম্য কিশোর। বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যেও তার উদ্ভাবনী প্রতিভা শরণার্থী শিবিরে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। হুসামের গল্প আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা।
One Comment