Tuesday , 21 January 2025 | [bangla_date]
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি ও ব্যাবসায়
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক খবর
  6. আবহাওয়া
  7. উদ্দোক্তার গল্প
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. তালতলী
  13. ধর্মীয়
  14. প্রতিক্রিয়া
  15. ফিচার

নাসা রেকর্ড করলো ফেরেশতাদের শব্দ!

মহাকাশে শোনা গেল ফেরেশতাদের শব্দ। নিজেদের অজান্তেই নাসা আবিষ্কার করল আসমানে থাকা ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি। নাসার একটি গবেষণায় উঠে আসে মহাশূন্যকে নিঃশব্দ ভাবা হলেও আসলে সেখানে প্রতিনিয়ত শব্দ হচ্ছে। গবেষকরা সেই শব্দ শুনে বলছেন, যেন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ একসঙ্গে গান গাইছেন। অথচ শবে মেরাজের রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, মহাকাশে প্রতিনিয়ত ফেরেশতারা জিকির করছেন। তবে কি এবার রেকর্ড করা হলো ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি!

আবু দার রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিরাজ থেকে ফিরে আসেন, তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি আকাশে কি দেখেছেন বা কি শুনেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, আমি যা দেখেছি, তোমরা তা দেখো না। আর আমি যা শুনেছি, তোমরা তা শোনো না। আকাশে প্রচন্ড কাঁপুনির শব্দ হচ্ছে আর তা হওয়ার কারণ আছে আকাশের চার আঙ্গুল পরিমাণেও জায়গা খালি নেই। সবখানেই ফেরেশতারা সিজদায় আছেন আর আল্লাহর জিকির করছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসটিতে প্রচন্ড ঝাঁকুনির মত শব্দ হচ্ছে বলেন। আগে ধারণা করা হতো, মহাকাশ যেহেতু একটি বায়ুশূন্য স্থান তাই সেখানে শব্দ হওয়া সম্ভব না। কিন্তু মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার একাধিক গবেষণায় বর্তমান সময়ে এটা প্রমাণিত যে, মহাকাশের শব্দ হচ্ছে।

সংস্থাটির আওয়ার ইউনিভার্স ইজ নট সাইলেন্ট অথবা লিসেন টু দ্যা ইউনিভার্স শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কিভাবে মহাকাশের শব্দ হয়। এমনকি নাসার অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ ও যন্ত্রপাতি এর সাহায্যে এসব শব্দ রেকর্ডও করা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, মহাকাশে মুক্তভাবে ছড়িয়ে ছিটে থাকা বিভিন্ন কণা বা নক্ষত্রে রেডিয়েশনের কারণে এ কম্পন বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়। তার কারণেই শব্দের উৎপত্তি। শব্দগুলো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ আকারে থাকে, পরে সেগুলোকে শব্দতরঙ্গে রূপান্তর করা হয়। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগেই বলেছিলেন যে, আকাশে কাঁপুনির শব্দ হয়।

আরও পড়ুনঃ  SpaceX Officials in Dhaka to Discuss Starlink

নাসাও বর্তমানে বলছে শব্দ কাঁপুনির কারণে হয়। এমনকি গবেষণা সাথে যুক্ত একজন গবেষক বলেন, এই শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল যেন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ একসাথে গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট গাইছে। গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট হচ্ছে খ্রিস্টানদের একরকম ধর্মীয় সঙ্গী যা একসাথে গাওয়া হয়। অথচ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগেই বলেছেন যে, ফেরেশতারা একসাথে আল্লাহর জিকির করছেন।

নাসা মহাকাশে এমন শব্দ আবিষ্কার করেছে ঠিকই, কিন্তু তারা এর পেছনে বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করছেন। কোন গবেষণায় বলা হচ্ছে নক্ষত্রের চুম্বক ক্ষেত্র, কোথাও আবার বলা হচ্ছে প্রাচীন মহাবিশ্বের বিস্ফোরণের শব্দ। তবে শব্দগুলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের বর্ণনার সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। আসলেও এ শব্দগুলো ফেরেশতাদের জিকিরের শব্দ কিনা তা আল্লাহ ভালো জানেন।

জ/ক/এন/এ

সর্বশেষ - খেলাধুলা