Thursday , 15 May 2025 | [bangla_date]
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি ও ব্যাবসায়
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক খবর
  6. আবহাওয়া
  7. উদ্দোক্তার গল্প
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. তালতলী
  13. ধর্মীয়
  14. প্রতিক্রিয়া
  15. ফিচার

চাঁদাবাজি প্রতিবেদনের জেরে ইত্তেফাক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করল!

ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক তানভীর আহমদের ছবি, পটভূমিতে লাল ঘোষণা পত্র এবং চাকরিচ্যুতের খবর, সাংবাদিকতার স্বাধীনতার প্রতীক।

ঢাকা, ১৫ মে ২০২৫: দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক তানভীর আহমেদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি একটি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। এই প্রতিবেদনের জেরে ইত্তেফাক কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনা সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তানভীর আহমেদের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমরা তানভীর আহমেদ ভাইয়ের সঙ্গে আছি।”

তানভীর আহমেদ গত সপ্তাহে ইত্তেফাকের পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি একটি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে স্থানীয় সূত্র ও কয়েকজন ব্যবসায়ীর বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এই নেতা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তবে, এই প্রতিবেদনের পরপরই ইত্তেফাক কর্তৃপক্ষ তানভীরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। জানা যায়, ঘোষণা দিয়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়, যা সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলী হোসেন বলেন, “তানভীর আহমেদ একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক। তিনি তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। তার প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই না করে তাকে চাকরিচ্যুত করা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী।” সাংবাদিক মহলে এই ঘটনাকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে ইত্তেফাক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইত্তেফাকের সম্পাদকীয় বিভাগের একটি সূত্র জানায়, তানভীরের প্রতিবেদনে পর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল না, এবং এটি প্রকাশের আগে যথাযথ যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তবে, এই দাবি সাংবাদিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ইত্তেফাকের এই পদক্ষেপকে অনেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছেন।

এই ঘটনার পর ফেসবুক ও এক্স-এ তানভীর আহমেদের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বাহ সাংবাদিকতা, বাহ ইত্তেফাক! সত্য প্রকাশ করার জন্য এভাবে শাস্তি দেওয়া হবে?” আরেকজন লিখেছেন, “তানভীর ভাই সত্যের পক্ষে লড়েছেন, আমরা তার সঙ্গে আছি।” এই ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দীর্ঘদিন ধরে চ্যালেঞ্জের মুখে। রাজনৈতিক দলগুলোর চাপে সাংবাদিকরা প্রায়ই হয়রানির শিকার হন। তানভীর আহমেদের ঘটনা এই প্রবণতারই একটি উদাহরণ। চাঁদাবাজির মতো সামাজিক সমস্যা তুলে ধরা সাংবাদিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে, এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইত্তেফাকের এই পদক্ষেপ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর প্রশ্ন তুলেছে।

আরও পড়ুনঃ  বিআইএম নবনির্মিত ট্রেনিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন শহীদ ফারহান ফাইয়াজ-এর মা

তানভীর আহমেদের চাকরিচ্যুতির ঘটনা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার একটি অন্ধকার দিক তুলে ধরেছে। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। তানভীরের মতো সৎ সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

সর্বশেষ - খেলাধুলা

আপনার জন্য নির্বাচিত