প্রচ্ছদ

স্থায়ী ক্যাম্পাস বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধনে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

মানারাত: মানববন্ধন ও প্রতিষ্ঠানের একত্রেতা প্রতীক,
মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থানান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে জগমগ চলছে। মানারাত ট্রাস্টির সরকারপক্ষের বাধ্যবাধকতা এ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য দেওয়ায় মানববন্ধনের সদস্যরা একটি জরিপ সংগ্রহ করছেন। অভিযানের মাধ্যমে তারা মানারাত প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সংরক্ষণের জন্য প্রতিবাদ করছেন।

মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছরে সরকারপক্ষের ট্রাস্টি ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক পার্টির অনুপ্রাণিত ব্যক্তি এবং কিছু পূর্বসরকারী কর্মকর্তার প্রভাবে চূড়ান্ত বিবর্তন পেয়েছে। কিন্তু এই ধাপটি সংঘর্ষপূর্ণ মানববন্ধনের আগেই শুরু হয়েছিল মানারাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসে সদ্যপ্রাপ্ত এবং নিজস্ব ভবন এবং জমির উপর শিক্ষার পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে এসেছিল। ইউজিসির নিয়মানুযায়ী ভাড়ার ক্যাম্পাসটি মিরপুরেও ২০১৭ সালে নিজস্ব জমিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। যাই হোক, প্রতিষ্ঠানটি সর্বস্বত্ব দেয়ার পদার্থটি পেয়ে এখন অপসারণের পরেও মানববন্ধন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ নিজস্ব ভবনে, খোলা মাঠঘাটে সঠিকভাবে শিক্ষা প্রাপ্ত করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসটির মাঝপথেও নিজস্ব ভবন এবং জমি ক্রয়ের চিন্তা ছিল।

কিন্তু অতিপ্রাকৃতিকভাবে, বর্তমান ট্রাস্টির কিছু সদস্যের দৃষ্টিতে গুলশানের জমিতে চার চারকোটি টাকার অন্যের সম্পদ ছাড়াতে অপসারণের প্রণোদনা ছিল। তারা নিজস্ব ক্যাম্পাস বিক্রয় করে দেয়ার চিন্তা করছেন। এটাই নয়, বিশিপপক্ষের কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষকসমূহও এই পদার্থে সহযোগিতা করেছেন। যাদের মধ্যে কিছু ডিপার্টমেন্ট প্রধানও রয়েছেন। অনেক শিক্ষকের মন্তব্য অবসান ক্যাম্পাসেই ক্লাস ও কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়টি বর্তমানের সাধারণ অভিবাসনকারীদের উদ্দেশ্য হয়নি।

আলাদাভাবে, মানারাতে প্রাপ্ত সূত্র অনুযায়ী আশুলিয়া ক্যাম্পাসে অবস্থান গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপক প্রতিষ্ঠাতা, যাদের মধ্যে কিছুই ডিপার্টমেন্ট প্রধান। বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য তাঁদের অধীনে কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট সারি তালার উপরে অবস্থিত ছিল। তবে দ্রুত ধাপটি নিতে না পেরে, অযোগ্যতার জন্য অন্যান্যের জায়গা দেওয়া হয়েছিল মানারাত। গত বছরে যে সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল, এই বছরে তাদের অর্ধেকও ভর্তি হয়নি। এর মধ্যে আবার নিজস্ব ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইউজিসির সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ করে দেয়া খুব সহজেই সম্ভব হয়। কারণ, একই কারণেই গুলশানের মাঝপথের নিজস্ব ভবন কিছুক্ষণের জন্যই অবসারণ হয়েছে বর্তমান প্রায় ৩/৪ হাজার শিক্ষার্থীর। তাঁদেরও ক্যাম্পাস অবসারণের সঠিক কোনো কারণ জানানো হয়নি। এছাড়াও ট্রাস্টির সকল সদস্যদের মিটিং হয়নি, কিছু সদস্যের সিদ্ধান্তেই এমনটা হয়ে যাচ্ছে। আর সঙ্গে রয়েছে ক্যান্সারে আক্রান্ত তাঁদের অনুযায়ী এই ধাপটি নিতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত প্রশাসন। এই পদার্থের একজন অতিরিক্ত প্রশাসন অধিকারী তাঁর প্রমোশন পায়েছেন। এখনও তাঁর অপসারণের পদ্ধতিও প্রকাশ পেয়েছে। তিনি একটি ডিপার্টমেন্ট খুলেছেন, এটির প্রধান হন এবং ডিন হন। তাঁদের সরকারী পদে নির্ভর করলেও ট্রাস্টি চেয়ারম্যান এই সিদ্ধান্তটি মানেননি।

আরও পড়ুনঃ  আল্লামা সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মানারাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকেই জামাত-বিএনপির মতাদর্শী লোকজনের আকর্ষণে ছিল। ২/৪ জন সরকার দলীয় পন্থীরাও এখন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মুছে দিতে চায়। কেননা এটার লক্ষ্য হয় অন্যের সম্পদ নষ্ট করার প্রচেষ্টা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *