শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া’র
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবারও পুরোনো জটিলতায় ভুগছেন। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার বিভিন্ন প্যারামিটারে অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে।
হার্ট, কিডনি ও লিভারে কিছু জটিলতা নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। এতে ওজন বেড়ে গেছে। কষ্ট হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসে। এ ছাড়া প্রেশার ও ডায়াবেটিসও ওঠানামা করছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে বিদেশে মাল্টিপুল ডিজিস সেন্টারে চিকিৎসার তাগিদ দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য এসব তথ্য জানান। এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত বুধবার রাতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বোর্ড এ পর্যন্ত দুই দফায় বৈঠক করেছে। যেখানে দেশি-বিদেশি ডজনখানেক চিকিৎসক অংশ নেন। লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান শাশুড়ির চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছেন। জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের জুনে এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। একটিতে তখন রিং পরানো হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস হয়েছে বলে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান। বোর্ড তখন দ্রুত খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করে বলে, তার এই চিকিৎসা শুধু বিশ্বের তিনটি দেশেই সম্ভব।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গতকাল রাতে কালবেলাকে বলেন, ম্যাডাম প্রাথমিক অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারলে এগুলোর উদ্ভব হতো না।