আন্তর্জাতিক

সীমান্তে বিএসএফের গুলি: আশার আলো কবে দেখবে বাংলাদেশীরা?

মো: নূরে আলম (প্রতিবেদক) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি করে হত্যার ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই নির্মম ঘটনায় প্রতি বছর নিহত হয় বহু নিরীহ মানুষ। সরকারের কাছে বারবার আবেদন করা হলেও এখনও পর্যন্ত সমাধানের দেখা মেলেনি।

সীমান্তে মৃত্যুর মিছিল
গত বছর (২০২৩ সালে) বিএসএফের গুলিতে ৪৪ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন ছিল নারী ও শিশু। চলতি বছরের (২০২৪) প্রথম মাসেই ৫ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে পণ্য পাচার ঠেকানোর অজুহাতে। নিরস্ত্র মানুষের উপর গুলি চালানোর এই ঘটনা নীতিগতভাবে ভুল এবং মানবিকতার পরিপন্থী।

সমাধানের চাবিকাঠি কোথায়?
এই হত্যাকাণ্ড রোধে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য দুই দেশের মধ্যে আন্তরিক আলোচনা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
এই হত্যাকাণ্ডকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

তারা দাবি করছেন, নিরস্ত্র মানুষের উপর গুলি চালানো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

আশার আলো কবে?
সীমান্তে বিএসএফের গুলি করে হত্যাকাণ্ড রোধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সকল সচেতন মানুষ।

তারা আশা করছেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই নির্মম ঘটনার অবসান হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপ:
* সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
* সীমান্তে ফ্লাডলাইট স্থাপন এবং টহল বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
* নিরস্ত্র মানুষের উপর গুলি না চালানোর জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিরোধী দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়া:
* বিরোধী দলগুলো সরকারের পদক্ষেপকে অপর্যাপ্ত বলে মনে করে।
* তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
* মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই হত্যাকাণ্ডকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা:
* আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
* তারা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় নিহত তিন, মসজিদে অগ্নিসংযোগ

সমাধানের সম্ভাব্য উপায়:
* দুই দেশের মধ্যে আন্তরিক আলোচনা ও সহযোগিতা।
* সীমান্তে যৌথ টহল বৃদ্ধি।
* নিরস্ত্র মানুষের উপর গুলি চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন।
* আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ও মধ্যস্থতা গ্রহণ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *