বাংলাদেশ
Trending

জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৩ জন নিহত

জুলাই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫১১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫৭৩ জন এবং আহত হয়েছে ১২৫৬ জন মানুষ। একই সঙ্গে এসব দুর্ঘটনায় ১০ ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, ১৮৮ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮৩ জন।

এই সময়ে ১৪ নৌ-দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ২৩ আহত এবং ১১ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৩৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যু এবং ১২ জন আহত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো জুলাই মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহত হওয়ার চিত্রে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৮৩ জন; ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৬ জন; প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ২৩ জন; থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ১০৩ জন; স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-লাটাহাম্বা) ২২ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১১ জন নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৮টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৪৪টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৩৩টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সেখানে ১৭৪টি দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত।

সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২০টি দুর্ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪২টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর ও বান্দরবান জেলায়। এই ২টি জেলায় সামান্য মাত্রার ৫টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ৩২টি দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছে।

সংগঠনটির মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবাদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

আরও পড়ুনঃ  সুযোগ পেলেই মেয়েকে ধ'র্ষ'ণ করতেন বাবা

সুপারিশ হিসেবে বলা হয়, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *