বিপিএলে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ১২ ম্যাচে করেছিলেন কেবল ১৭৫ রান। জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হয়ে শুরুর ম্যাচেও ভালো করতে পারেননি তিনি। ২০৭ রান তাড়া করতে নেমে ২২ বল খেলে করেছিলেন ২০ রান।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর প্রথম জয়ের ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন শান্ত। ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। এরপর শান্ত বলেছেন, ‘ব্যাটার হিসেবে আপনি সব ম্যাচেই রান করতে চাইবেন, আশা করি আমি এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারবো। ’
প্রথম ম্যাচে দুইশ ছাড়ানো রান করলেও দ্বিতীয়টিতে সেটি পারেনি শ্রীলঙ্কা। তার কৃতিত্ব বোলারদের। প্রথম ওভারই মেডেন করেছিলেন শরিফুল। পরের ওভারে উইকেট নেন তাসকিন। শেষদিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন মুস্তাফিজও। শেষ অবধি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে লঙ্কানরা।
ম্যাচশেষে বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় যেভাবে ফিরে এসেছি, এটা আমাদের ক্যারেক্টারকে দেখিয়েছে। যেভাবে আমরা বল করেছি, তাতে খুবই খুশি। আলাদা করে কোনো বোলারকে কৃতিত্ব দিতে চাই না, তারা সবাই খুব ভালো বল করেছে। শরিফুল বিপিএলেও ভালো বল করেছে, এখানে ফর্ম পেয়েছে, আমি তাকে নিয়ে খুবই খুশি।’
১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশও। প্রথম ছয় ওভারে ৬৩ রান করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। পরে শান্তর সঙ্গে ৮৭ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়ও।
ব্যাটারদের কৃতিত্ব দিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় লিটন ও সৌম্য শুরুটা ভালো করেছে, আর পরের দিকে হৃদয়ও খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমি যেটা অনুভব করেছি, ম্যাচটাতে পুরো দল ভালো করেছে।’
রেনেসাঁ টাইমস/সিয়াম