হাজী সেলিমের সহযোগী রনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর
ঢাকা ৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের ঘনিষ্ঠ সহচর ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন রনিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)। গ্রেফতারকৃত রনি বংশাল ৩২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য।
জানা যায়, রনি আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাত। তার নামে থানায় প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ ছাত্র হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বংশাল, কোতোয়ালিতে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল রনি। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে জমি দখল, হুমকি এমনকি সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। একাধিক মামলার আসামি রনির নামে বেসিক ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি, ভূমিদস্যু ও অবৈধ অস্ত্র ধারণ করার অভিযোগ ছিল।
রনির বিরুদ্ধে তার গর্ভধারিনী মা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়নে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। যেখানে রনির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল মা এবং ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার ও মেরে ফেলার হুমকিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
রনি স্থানীয় বেশ কিছু মানুষের ওপর জোর-জুলুম ও নির্যাতন চালাতেন।কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা রনির ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাতেন। তবে রনি গ্রেফতারের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। রনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা।
জানা যায়, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতিতেও আধিপত্য বিস্তার করেন রনি। প্রকাশ্যে দলীয় প্রোগ্রামে তার দলবলসহ সমিতির পরিচালনা পরিষদের পরিচালক নুরুল ইসলাম বুলবুল সবুজ ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় রনির নামে মামলা দায়ের হয়।
সর্বশেষ ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ বাদি হয়ে রনির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ মু. এনামুল হাসান জানান, রনির নামে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগস্টিসের মামলায় তাকে গ্রেফতার করি বিজ্ঞ আদালতে তোলার পর রিমান্ডের আবেদন করা হয় আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। রনির নামে আরও মামলা আছে।
স্টাফ রিপোর্টার
ইমরুল হাসান