পার্থেনিয়াম হল একটি আগাছা যা সারা বিশ্বে দেখা যায়। এটি ডেজি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। পার্থেনিয়াম গাছের পাতা, ফুল, এবং ফলের মধ্যে থাকা পদার্থ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হতে পারে।
পার্থেনিয়াম গাছের মধ্যে থাকা পদার্থের নাম হল টেট্রাসাইক্লিন। টেট্রাসাইক্লিন হল একটি রাসায়নিক যা মানুষের শরীরের কোষের ডিএনএ-কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
পার্থেনিয়াম গাছের কারণে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এমন কিছু বিষয় হল:
* পার্থেনিয়াম গাছের দীর্ঘ সময়ের সংস্পর্শে থাকা।
* পার্থেনিয়াম গাছের পাতা, ফুল, বা ফলের সাথে সরাসরি সংস্পর্শে আসা।
* পার্থেনিয়াম গাছের ধূলিকণা শ্বাস নেওয়া।
পার্থেনিয়াম গাছের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকা কিছু ক্যান্সার হল:
* মুখের ক্যান্সার
* নাক ও গলার ক্যান্সার
* ত্বকের ক্যান্সার
* রক্তের ক্যান্সার
* লিভারের ক্যান্সার
* স্তন ক্যান্সার
* জরায়ু ক্যান্সার
পার্থেনিয়াম গাছের কারণে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
* পার্থেনিয়াম গাছের আশেপাশে না থাকা।
* পার্থেনিয়াম গাছের পাতা, ফুল, বা ফলের সংস্পর্শ এড়ানো।
* পার্থেনিয়াম গাছের ধূলিকণা শ্বাস না নেওয়া।
পার্থেনিয়াম গাছ একটি ক্ষতিকর আগাছা। এটি থেকে দূরে থাকা এবং এর কারণে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বাংলাদেশে পার্থেনিয়াম গাছের সমস্যা
বাংলাদেশে পার্থেনিয়াম গাছ একটি বড় সমস্যা। এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্থেনিয়াম গাছ দ্রুত বংশবিস্তার করে এবং অন্যান্য উদ্ভিদের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে। এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
বাংলাদেশে পার্থেনিয়াম গাছ নির্মূল করার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, এই পদক্ষেপগুলি এখনও যথেষ্ট কার্যকর নয়। পার্থেনিয়াম গাছ নির্মূল করতে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
মোঃ নূরে আলম
সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী