তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার ঘটনাটি (হামলার) পরিষদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ হোক কিংবা আনুষঙ্গিক অন্য কারণে হোক-তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। এতে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকে, তা হলে সেটি আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ‘নুরের ওপর হামলার’ বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
[caption id="attachment_1282" align="aligncenter" width="720"] গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূরকে ছাত্রলীগ কর্মীদের পরিকল্পিত হামলার পর রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ধারণকৃত। ছবি : সংগৃহীত [/caption]
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, যখনই নুর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ান, তার আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সংগঠনের টাকায় নিজের ব্যাংক-ব্যালান্স নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে, বিকাশে টাকা নেওয়া অথবা প্রবাসী অধিকার পরিষদের মাধ্যমে অর্থ নেওয়া– প্রভৃতি বিষয় ঘটে, তার ইমেজ সংকট তৈরি হয়, তখনই মার খাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি, এ বিষয়গুলো বিচার-বিশ্লেষণযোগ্য।
এ ছাড়া অতিউৎসাহী হয়ে ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ের কর্মীও যদি তাতে জড়িত থাকে, তাহলে সেটা আমরা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
গত বুধবার (২ আগস্ট) ছাত্র অধিকার পরিষদের এক কর্মসূচিতে অংশ নিতে মিছিল নিয়ে টিএসসি যান নুর। এ সময় তাদের মিছিলে বাধা, তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে একপর্যায়ে তাদের মারধর করেন একদল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এ সময় নুরকে রিকশায় তুলে হাসপাতাল নেওয়ার সময়ও কয়েকজন তাকে দৌড়ে মারতে যান। এ সময় ২৫ থেকে ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। পরে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।