হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) ও পবিত্র কোরআন নিয়ে কটুক্তিকারী আসাদুজ্জামান আসাদ নূরকে গ্রেপ্তারের জন্য সোমবার তার বাড়ীতে অভিযান চালিয়েছেন আমতলী থানা পুলিশ। কিন্তু আসাদ নূর পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
[caption id="attachment_1404" align="aligncenter" width="465"] সংগৃহীত ছবি[/caption]
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ নুর। ২০১৭ সালে বাড়ী ত্যাগ করে। এরপর থেকে পরিবারের সাথে তার যোগযোগ নেই বলে দাবী করেন তার পরিবার। কিন্তু তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থেকে “আসাদ নূর ব্লগ” থেকে কোরআন শরীফ, হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আপলোড দিচ্ছেন । এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ২০২০ ও ২০২১ সালে সাইবার ট্রাইবুনালে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় এবং ঢাকায় মামলা হয়।
ওই মামলা দুটিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি রয়েছে। কিন্তু তিন বছরেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত ৪ আগষ্ট তার “আসাদ নূর ব্লগ” থেকে হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) ও পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে কটুক্তি করে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। নাস্তিক আসাদ নূরের বিচার দাবী করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম উত্তল হয়ে উঠে। আসাদ নূরকে গ্রেপ্তার করতে সোমবার তার গ্রামের বাড়ীতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে বাড়ীতে পায়নি।
আসাদের পরিবারের দাবী ২০১৭ সালে আসাদ বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়, এরপর থেকে তাদের সাথে কোন যোগযোগ নেই কিন্তু স্থানীয়রা দাবী করছেন আসাদের সাথে তার পরিবারের যোগাযোগ রয়েছে। আসাদের দেয়া অর্থ দিয়েই তারা জীবন যাপন করছেন। আসাদের অবস্থান তারাই জানেন। কিন্তু পুলিশি হয়রানীর ভয়ে তারা সব লুকিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরো বলেন, ২০২১ সালে আসাদ এলাকায় ফিরে এসে নিজেকে সুধরে নিয়েছেন বলে দাবী করে বাড়ীতে অবস্থান নেন। কিছু দিন পরে তিনি আবার বাড়ী থেকে চলে যান।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আসাদুজ্জামান আসাদ নূরের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া ও ঢাকায় সাইবার ট্রাইবুনালে দুইটি মামলা আছে। দুটি মামলায়ই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে । তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
আসাদ নূর'কে নিয়ে আরও পড়ুনঃ
যেখানে এই 'নাস্তিক আসাদ নূর' বিশিষ্ট আলেমগণকে কটাক্ষ করে কথা বলে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন, শ্রোতাগণের উদ্দেশ্য করে আরও বলে তারা আরও বড় আহাম্মক।
এর পূর্বেও এই নাস্তিক ‘‘স্বঘোষিত নাস্তিক আসাদ নূর তার ভিডিওতে মহান আল্লাহর শানে চরম বেয়াদবি করে বলেছে- ‘আল্লাহ কিছু করতে পারে না এবং পবিত্র ধর্ম ইসলাম ধর্ম করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর’। দেড়শো কোটি মুসলমানের প্রাণের স্পন্দন হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর নাম বেয়াদবির সাথে উচ্চারণ করে এই কুলাঙ্গার তাঁকে ডাকাত ও ভণ্ড নবি বলার জঘন্য স্পর্ধা দেখিয়েছে৷ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান পবিত্র হজ্জকে নিয়েও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে সে।’’
কুলাঙ্গার আসাদ নূর বারবার ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে জঘন্য কটূক্তি ও কুৎসা রটিয়ে বাংলাদেশের সুন্দর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক সহাবস্থানকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। সে ইসলামী চেতনাবোধ ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জঘন্য বিষোদ্গার করে যাচ্ছে। সে ঘৃণার চর্চা করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে বাংলাদেশের শত্রুদের ক্রীড়নক হয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ সামাজিক সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটূট রাখার স্বার্থে নাস্তিক আসাদ নূরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ কঠোর শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি তাকে ইন্ধন যোগাতে পর্দার আড়াল থেকে কারা কারা কলকাঠি নাড়ছে, সঠিক অনুসন্ধান করে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। যাতে আগামীতে এ ধরণের চক্রান্তে শামিল হওয়ার সুযোগ ও দুঃসাহস কেউ দেখাতে না পারি।
নূর/রেনেসাঁ টাইমস