বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে প্রতারণা

এবারের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানটি ২০২৩ সালের ২য় আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর বিএসএমএমইউর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের হাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন ও পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতি বছর এই অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু এবার বিজয়ীদের দেওয়া হয়েছে শুধু ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট।

সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু বিজয়ীদের পুরস্কারের টাকা দেওয়া হয়নি। এটি প্রতারণা বলে অভিযোগ করেছেন বিজয়ীরা।

জানতে চাইলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার তাদের টাকার সংকট। তাই পুরস্কারের টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু বিজয়ীরা বলছেন, অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজনে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তাহলে পুরস্কারের টাকা দেওয়ার জন্য কেন টাকা ছিল না?

বিজয়ীরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন।

বিজয়ীরা হলেন:
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলাভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীসহ ১০ গণমাধ্যমকর্মী। তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য সাংবাদিকরা হলেন দৈনিক কালবেলার সিনিয়র রিপোর্টার রীতা ভৌমিক, স্টাফ রিপোর্টার মাহমুদুল হাসান, দৈনিক সাতমাথা বগুড়ার বার্তা সম্পাদক এফ শাহজাহান, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার বরুণ কুমার দাশ, সমকালের স্টাফ রিপোর্টার সাজিদা ইসলাম পারুল, এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি শারফু আলম, ডিবিসি টিভির সিনিয়র রিপোর্টার তাহসিনা জেসি, বিটিভির মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ফারহানা মির্জা এবং বাংলাদেশ বেতারের কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা সংবাদদাতা আসিফ ইকবাল।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত:

* পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডটি প্রতি বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর আয়োজন করে।
* এই অ্যাওয়ার্ডটি পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সাংবাদিকতা, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রতিষ্ঠানের কাজকে স্বীকৃতি দিতে দেওয়া হয়।
* এই অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
* এবারের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানটি ২০২৩ সালের ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়।
* এই অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
* কিন্তু বিজয়ীদের পুরস্কারের টাকা দেওয়া হয়নি।

বিজয়ীদের অভিযোগ:

* বিজয়ীরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন।
* তারা বলছেন, অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজনে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তাহলে পুরস্কারের টাকা দেওয়ার জন্য কেন টাকা ছিল না?
* তারা বলছেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বক্তব্য:

* পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার তাদের টাকার সংকট। তাই পুরস্কারের টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
* তারা বলছেন, আগামী বছর পুরস্কারের টাকা দেওয়া হবে।

বিজয়ীদের প্রতিক্রিয়া:

* বিজয়ীরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন।
* তারা বলছেন, আগামী বছর পুরস্কারের টাকা দেওয়া হবে এমন কথা তারা আগেও শুনেছেন। কিন্তু এবারও পুরস্কারের টাকা দেওয়া হয়নি।
* তারা বলছেন, তারা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ক্রেস্টে উল্লেখ রয়েছে এই অ্যাওয়ার্ডে অধিদফতরের পার্টনার ছিল জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA), Foreign, Commonwealth & Development Office, Sweden – Sverige এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

আরও পড়ুনঃ  পণ্যের মূল্য-মান নিয়ন্ত্রণ: আইনের প্রয়োগে ব্যর্থতা

মোঃ নূরে আলম
সম্পাদক
রেনেসাঁ টাইমস ডটকম

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button