বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই মিশন শুরু করেছে দুর্দান্ত ভাবে। ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে জয়ে পূর্ণাঙ্গ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ঘরের মাঠে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর স্বাগতিক বলিভিয়াকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে।
যদিও কেবল প্রথম ম্যাচেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জার্সিতে মাঠে নামেন দলটির প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। ঘরের মাঠ ব্যুয়েন্স আইরেসের স্তাদিও মনুমেন্তালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে করা ফুটবল জাদুকরের গোলেই সেদিন জয় পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটের গোলের পর ৮৯ মিনিটে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন মেসি। এরপরই ওঠে তার চোটে পড়ার গুঞ্জন। তবে এলএমটেন নিজে জানিয়েছিলেন, টানা খেলার ধকলে ক্লান্ত তিনি। এদিকে চোট বা ক্লান্তি যাই হোক, বলিভিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের পরের ম্যাচে মেসি খেলবেন কি না তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, মেসিকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছেন কোচ স্কালোনি। এমনকি সে ম্যাচের স্কোয়াডে পর্যন্ত রাখা হয়নি মেসিকে।
তবে বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ডাগ-আউটে বসে দেখেছেন মেসি। কিন্তু কীভাবে? স্কোয়াডে না থাকলে তো সেখানে থাকার অনুমতি নেই কারো। এখানেই ঘটেছে অবাক করার মত এক ব্যাপার।
টিএনটি স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দল এবং সতীর্থদের সমর্থন দিতে তাদের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন মেসি। আর তাই ফিফার সহকারী কোচের ফর্ম পূরণ করেছিলেন মেসি। এবং সেটা অনুমোদিতও হয়েছিল।
ফলে বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে যে মেসিকে দেখা গেছে ডাগ আউটে তিনি আসলে ফুটবলার মেসি ছিলেন না। ছিলেন আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ মেসি। এর মাধ্যমে মেসির উপস্থিতি যেমন দলকে যুগিয়েছে আত্মবিশ্বাস ঠিক তেমনি ফুটবল জাদুকর নিজেও পেরেছেন সতীর্থ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে থেকেই জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।