জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরার নামে ২০২০ সালে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। অথচ, তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে মামলাটি করা হয় এবং মামলাগুলোর কথা গোপন রেখে দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে কারাবন্দি রয়েছেন তিনি।
[caption id="attachment_1655" align="aligncenter" width="720"] ফেসবুকের পোস্ট থেকে নেওয়া[/caption]
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট পুলিশ মামলা দায়ের করে। তিনি একটি ফেসবুক ওয়েবিনার হোস্ট করেছিলেন যেখানে একজন অতিথি বক্তা সরকারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
খাদিজাতুল কোবরার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অ্যাকাডেমিক নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালে তার বয়স ছিল ১৭ বছর।
কলাবাগান ও নিউমার্কেট দুই থানার পুলিশই মামলায় তাকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে দেখিয়েছে। একটি মামলায় তার বয়স দেখানো হয়েছে ১৯ এবং অপরটিতে ২২ বছর।
খাদিজার বোন মনিরা জানিয়েছিলেন, খাদিজার কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে। সেই অবস্থাতেই কোনো ধরনের ওষুধ ছাড়াই কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
গত এক বছরে বহুবার খাদিজার জামিন আবেদন করা হলেও জামিন মেলেনি। সমকালের একটি সংবাদে বলা হয়েছিল, খাদিজার শিক্ষাজীবন নিয়ে তিনি ও তার পরিবার উদ্বিগ্ন। একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবন নিবর্তনমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এভাবে শেষ হয়ে যাবে তা মেনে নেওয়া যায় না। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এদেশে বহু মানুষের জীবন ধ্বংস করেছে। তাদের মধ্যে একজন খাদিজাতুল কোবরা।
সম্প্রতি এই আইন পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হলেও এই আইনের আওতায় যারা অন্যায় মামলা, হয়রানি ও গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন তাদের ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কোনো সমাধান আসেনি।
সসহপাঠীদের দাবী: নাম পরিবর্তন বা কিছু ধারায় সামান্য পরিবর্তন নয়, এই নিপীড়নমূলক আইন পুরোপুরি বাতিল হোক। এই আইনে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার সকলের মুক্তি দেওয়া হোক। আমরা অবিলম্বে খাদিজাতুল কোবরার মুক্তি চাই। তিনি সুস্থ হয়ে শিক্ষাজীবনে ফিরতে পারবেন এটাও তাদের চাওয়া।
এই দাবিতে আজ সারাদিন তারা স্টেটাস দিবেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। সঙ্গে যুক্ত করছে একটি হ্যাশট্যাগ।
#FreeKhadizatulKobra