বরগুনার বামনা উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন, রামনা ইউনিয়নের আল আমিন ও তার স্ত্রী তাজেনুর বেগম। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় ঐ শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। অভিযোগ পেয়ে ঐদিন রাতেই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর পরিবারের কারো নিজেদের ফোন না থাকায় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রায়ই প্রতিবেশী অভিযুক্ত আল আমিনের ফোন থেকে কথা বলতেন। এই সুযোগে আল-আমিন প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন।
গত ২৮ জুলাই বেলা ৩টার দিকে আল-আমিনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম তাকে কাঁথা সেলাই করার জন্য ঘরের পাটাতনে ডেকে আনেন। সেখানে আগে থেকেই অভিযুক্ত আল-আমিন অবস্থান করছিলেন। তাকে দেখে ঐ শিক্ষার্থী নিচে নামতে গেলে স্ত্রী তাজেনুর তাকে বাধা দেন এবং টেনে হিঁচড়ে পাটাতনে ফেলে দেন। পরে আল-আমিন তাকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় তার স্ত্রী ঐ ধর্ষণের ঘটনা ফোনে ভিডিও ধারণ করেন ও ছবি তুলে রাখেন। এরপর ঐ ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ঐ ভুক্তভোগী মেলামেশাতে পুনরায় রাজি না হলে ঐ ধারণ করা ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তারা।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বামনা থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার স্ত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে। ঐদিন রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা নিয়ে শুক্রবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়।
বামনা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছি। তাদের ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও পেয়েছি। পরে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’