সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালের প্রিজন সেলে মারা যান সাঈদী। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই হাসপাতালের সামনে জড়ো হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। তাদের অবস্থানের কারণে সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১টার দিকে গেটের তালা ভেঙে তারা হাসপাতালের ভেতর ঢুকে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মুখপাত্র ফারুক হোসেন সমকালকে বলেন, ‘রাজধানীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে এবং থাকবে। এ ছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএমপির সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সতর্ক।’
পুলিশ জানায়, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ঘিরে কয়েক দিন ধরেই দেশব্যাপী ছিল বাড়তি নিরাপত্তা। এরই মধ্যে সোমবার রাতে সাঈদীর মৃত্যুর পর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে পিরোজপুর, বগুড়া, খুলনাসহ কয়েকটি জেলায় রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের সভাপতিসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন থানায় তাদের আটক করা হয়। কাউখালীর জামায়াতের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা আনোয়ার কাজী, পিরোজপুর সদর উপজেলার গণকপাড়া এলাকার রুহুল আমিন ও শহরের মাছিপুর এলাকার আব্দুল্লা আল ওয়াদুদ, নেছারাবাদের ফয়সাল খান, তুফরাহান ও রুবেল, মঠবাড়িয়ার আবুল হোসেন ও মাছুমবিল্লা, ইন্দুরকানীর কোরবানকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া নাজিরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করেছে।
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। ওই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়।