গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এরই মধ্যে পাঁচ মাস পূর্ণ হয়েছে এই যুদ্ধের। এই সময়ে অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩০ হাজার ৭১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও ৭২ হাজার ১৫৬ জন।
এমন হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও চাপ উপেক্ষা করে ঘনিষ্ট মিত্র ইসরায়েলকে অর্থ ও অস্ত্রসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন তেলআবিবের কাছে শতাধিকবারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলি নেতারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কোনও উদ্যোগ না নিলেও অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখে ওয়াশিংটন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক এক গোপন নথিতে মার্কিন কর্মকর্তারা কংগ্রেসের সদস্যদেরকে জানিয়েছেন- হাজার হাজার দূরনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র, ছোট ব্যাসের বোমা, বাঙ্কার বাস্টার, ছোট অস্ত্র ও অন্যান্য প্রাণঘাতী অস্ত্রসরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।
তেলআবিবের এই হত্যাযজ্ঞকে এরই মধ্যে গণহত্যা অভিহিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ। গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেই শুরু থেকেই এই গণহত্যায় জোরালো রাজনৈতিক সমর্থন এবং অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে চলেছে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি নিয়ে অনেক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার গভীর উদ্বেগ সত্ত্বেও শতাধিকবার অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের মানে হল- পাঁচ মাসব্যাপী সংঘাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েছে ওয়াশিংটনও। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান
রেনেসাঁ টাইমস/সিয়াম