বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলায় বীরকেদার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আমজাদ হোসেন উপজেলার বীরকেদার গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, বছর পাঁচেক আগে ভুক্তভোগী মেয়েটির মায়ের সঙ্গে আমজাদ হোসেনের বিয়ে হয়। তার মা আমজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী। আমজাদ মাঝে মধ্যে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এসে তাদের বাড়িতে থাকতেন। মেয়েটির মা পেশায় ভিক্ষুক। প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় ঘরে ফেরেন। ১৯ বছরের ওই মেয়েটি মায়ের সঙ্গেই বসবাস করতেন। বছরখানেক আগে কাহালু উপজেলায় মেয়েটির বিয়ে হয়। তবে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মাস দুয়েক আগে মায়ের বাড়ি চলে আসেন। সেখানে গত ৩০ জুন সকালে তাকে ধ;র্ষণ করেন আমজাদ। একই সঙ্গে ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেন।
এরপর থেকে আমজাদ তাদের বাড়িতে এলেই মেয়েটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন। তবে এসব ঘটতো মেয়েটির মা বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর। এরমধ্যে গত ১৫ জুলাই মেয়েটি তার মাকে সবকিছু জানান। ফলে আমজাদকে পরিবারের লোকজন এসব থেকে বিরত থাকতে বলেন। এরপরেও গত ৭ আগস্ট সকালে মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে তার সঙ্গে আবারো ঘনিষ্ঠ হতে চান আমজাদ। ওই সময় মেয়েটি কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে তার মামার বাড়িতে চলে যান। মামাকে ডেকে নিয়ে এসে দেখেন ততক্ষণে তার সৎ বাবা পালিয়ে গেছেন।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমজাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।