বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (৯ আগস্ট) রাত সোয়া ২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের বাবা আনোয়ার হোসেন মারা যান। এর আগে রাত ১১টায় ওই ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকার আনোয়ার হোসেন (৭৮), তার দুই ছেলে শাহাদাত হোসেন (৫০) ও শহীদুল ইসলাম (২২)।
স্থানীয়রা জানান, টানা ভারী বর্ষণে চকরিয়া উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বহদ্দারকাটা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের বসতভিটাও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে পানি ঢুকে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ কারণে বুধবার রাতে বসতভিটা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে সেপটিক ট্যাংকটি পরিষ্কার করতে নামেন।
আরও পড়ুনঃ আমাকে নিয়ে যাও, জেলে থাকতে চাই না: ইমরান খান
এ সময় গ্যাসের বিষক্রিয়ায় ট্যাংকের ভেতরে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। পরে উদ্ধার করতে নেমে তাদের বাবাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের বাবাও মারা যান।
ওসি জাবেদ মাহমুদ জানান, বুধবার রাতে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় দুই ভাই ও তাদের বাবা অজ্ঞান হয়ে যান। পরে দুই ভাই চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস থেকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।