যুদ্ধবিরতি ইস্যু: ইসরায়েলি জিম্মিদের তালিকা নিয়ে জটিলতা কেন?
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর। কিন্তু এক্ষেত্রে নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। জিম্মিদের তালিকা দেওয়ার নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস সেই শর্ত মানতে নারাজ।
কায়রোয় গত রবিবার শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় প্রতিনিধিদল পাঠায়নি ইসরায়েল। হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল ছাড়াই সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো কায়রোয় আলোচনা হয়েছে।
একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে জীবিতদের তালিকা দিতে ইসরায়েলের দাবি না মেনে নেওয়ায় আলোচনায় প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়নি নেতানিয়াহু সরকার।
তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাস ও মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর পবিত্র রমজান মাসের আগেই গাজায় ছয় সপ্তাহের সাময়িক যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।
কাতারভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান বারারি বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি-সংশ্লিষ্ট বিষয় হওয়ায় জিম্মিদের নামের তালিকা দিতে রাজি হচ্ছে না হামাস।
তিনি বলেন, “যদি শিগগিরই চুক্তির বিষয়ে সমঝোতার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে পরে হামাস সম্ভবত জিম্মিদের নিয়ে তথ্য দেবে।”
হাসান বলেন, “এই মুহূর্তে জিম্মিদের বিস্তারিত তথ্য ইসরায়েলিদের সরবরাহ করা হামাসের জন্য কঠিন। যদি কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তাহলে এই তালিকার খুঁটিনাটি ইসরায়েল বিশ্লেষণ করবে, যা তাদের গোয়েন্দা তৎপরতার জন্য প্রয়োজন।” সূত্র: আল জাজিরা
রেনেসাঁ টাইমস/সিয়াম