আসামিরা হলেন- ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক(৫৬),তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার (৪৬) ও আসমা আক্তার শিল্পী (৫১)।
রবিবার(৬ আগষ্ট) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক ভূঞা। তিনি বলেন, শুক্রবারে রহস্যজনকভাবে আট তলা থেকে পড়ে গৃহকর্মী ফেরদৌসী আহত হয়। এই ঘটনায় শিশুকে হেফাজতে রেখে ব্যক্তিগত কাজে নিয়োজিত করে নির্যাতন ও অবহেলায় সংগঠিত শিশুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতির ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় বাদী হয় শিশু আইনের ৭০ ধারায় একটি মামলা(মামলা নং-২৩) দায়ের হয়েছে। এই মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক তার স্ত্রী এবং শিশুটিকে যিনি এনে দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।শিশুটির মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
শিশুটির মা জোসনা বেগম জানান, তাঁর মেয়ে ফেরদৌসীকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে ৮ তলায় একটি ঘরে থাকতে দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে রান্না-বান্না, বাসন মাজা, বাচ্চাদের দেখাশোনাসহ বিভিন্ন কাজ করতে হতো। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে মাঝে মাঝে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। গত শুক্রবার আমার মেয়েকে ৮ তলা থেকে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমি আমার মেয়ের সুস্থতায় আতঙ্কিত। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, শিশু নির্যাতন ও অবহেলার অভিযোগে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শিশু আইনের ৭০ ধারা অনুযায়ী, যে ব্যক্তি কোনো শিশুকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করে, তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
সূত্র: Zulkarnain Saer (Sami)
Investigative journalist