দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় শিয়া তীর্থস্থান সাইয়েদা জেইনাবের মাজার। বৃহস্পতিবার ওই মাজারের কাছাকাছি একটি ট্যাক্সিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাশের একটি মোটরসাইকেলও বিস্ফোরিত হয়।
লন্ডনভিত্তিক তদারক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানি মিলিশিয়ারা যেখানে অবস্থান করছিল তার খুব কাছাকাছি বিস্ফোরণ হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি ট্যাক্সিতের বোমা রেখেছিল বলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এটিকে ‘সন্ত্রাসী বোমা হামলা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি নিউজ এজেন্সিকে ইব্রাহিম (৩৯) নামের এক সরকারি কর্মচারী বলেন, আমরা হঠাৎ করে একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এর পরপরই লোকজন ওই এলাকা থেকে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করেন। এরপর ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স আসে ও নিরাপত্তারক্ষীরা চারদিক ঘিরে ফেলেন।
ইব্রাহিম আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাতনি ও ইমাম আলীর কন্যা সাইদা জেইনাবের মাজার থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে একটি নিরাপত্তা ভবনের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল-ইখবারিয়া ও সরকারপন্থী গণমাধ্যমগুলোর শেয়ার করা একাধিক ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরিত ট্যাক্সিটিকে ঘিরে রয়েছেন সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ মানুষরা। আশেপাশের ভবনগুলোতে আশুরার সবুজ, লাল ও কালো রঙের পতাকা-ব্যানার টাঙানো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন রক্ত ও ধুলোয় আচ্ছন্ন দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য চাইছেন। আশেপাশের দোকানগুলোর কাচের দেওয়াল ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে ও একটি দোকানে আগুন লেগে গেছে।
আশুরা হলো মহররম মাসের ১০ম দিন, যা শিয়া সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাসগুলির মধ্যে একটি। সপ্তম শতাব্দীর এ দিনেই বর্তমান ইরাকের কারবালা যুদ্ধে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি ইমাম হুসাইন ও তার ৭২ জন সঙ্গী শাহাদাত বরণ করেন। আশুরায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন শোক মিছিল করে থাকেন।