বিগত ২৬/০৫/২০২৫ ও ২৮/০৫/২০২৫ তারিখে দৈনিক জনবাণী পত্রিকায় যথাক্রমে “কালো টাকায় সম্পদের পাহাড় গড়লেন বিআইএমের প্রকল্প পরিচালক তানভীর ও “হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট বিআইএমের প্রকল্প পরিচালক তানভীর” শীর্ষক সংবাদ দু’টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদ দু’টি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং সামাজিক মর্যাদাকে চরমভাবে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য নিম্নরূপ:
উক্ত প্রতিবেদনে আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পনাপ্রসূত। আমার বা আমার পরিবারের কারো সঙ্গে শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগ বা তাদের কোনো নেতৃবৃন্দের ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা পেশাগত সম্পর্ক নেই। আমি একজন অরাজনৈতিক ও পেশাদার ব্যক্তি। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রতিবেদনে অন্যান্য যে প্রকল্পগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেগুলো সমিতির আদলে পরিচালিত যৌথ প্রকল্প, সেখানে আমি একজন সদস্য মাত্র। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পেয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছি, প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকল্পের সকল ক্রয় কার্যক্রম বা টেন্ডার প্রক্রিয়া ডিপিপি অনুযায়ী পিপিআর অনুসরণপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সম্পাদিত হয়েছে। সুতরাং আমার অর্থ আত্মসাতের সুযোগ বা বাস্তবতা কোনোভাবেই ছিল না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্রকল্পটি আওতায় নির্মাণ কার্য (সিভিল ও ই/এম) ডিপোজিট ওয়ার্ক হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে।
“হালিমা ট্রেডার্স” নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার কোনো রকম ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পর্ক নেই। প্রতিষ্ঠানটির নাম কাকতালীয়ভাবে আমার মায়ের নামের সাথে মিলে যাওয়ায় এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। “সরদার ট্রেডার্স” আমার ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্রকল্প পরিচালক হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে আমি কোন কাজ দেইনি। “সিকো ইন্টারন্যাশনাল” নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও আমার কোনো ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা পেশাগত সম্পর্ক নেই।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আমি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। অথচ প্রকৃত সত্য হলো, সংবাদটি প্রকাশের পূর্বে উক্ত সাংবাদিক আমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছিলেন এবং আমি তাকে ক্ষুদে বার্তায় স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন যে, “ভাই, আপনার নিউজে প্রকাশিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করতেই কেউ এসব ভুল তথ্য আপনার কাছে সরবরাহ করেছে। উল্লেখ্য, এর আগেও অনেক সাংবাদিক ভাই আমাকে একই ধরনের প্রশ্ন করেছিলেন, এবং তখনও আমি স্পষ্টভাবে একই ব্যাখ্যা দিয়েছি, আসলে এই অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। বর্তমানে আমি অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছি। আপনি যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে চলতি ঈদের পরে আমাদের দেখা হলে আরও বিস্তারিতভাবে বিষয়টি আলোচনা করতে পারি। আশা করি আপনি বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার জায়গা থেকে সঠিক তথ্য যাচাই করে প্রচার করবেন।”
এভাবে স্পষ্টভাবে আমার অবস্থান জানানোর পরেও সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ,আমি নাকি কোনো যোগাযোগ করিনি-যা পুরোপুরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। এই সংবাদ আমার প্রতি চরম অবিচার করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা, অভিযোগ বা তদন্ত কোনো আইন প্রয়োকারী সংস্থার নিকট বিদ্যমান নেই। আমি সব সময় পেশাগত সততা, নৈতিকতা ও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল আছি।
এমতাবস্থায়, উল্লেখিত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ দুটি প্রত্যাহার করে সরকার, প্রশাসন ও জনমনের বিভ্রান্তি দুর করার অনুরোধ জানাচ্ছি। শ্রদ্ধান্তে: তানভীর হোসাইন, প্রকল্প পরিচালক (ভুতপূর্ব) বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) সোবহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭।