সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও তার বাবাকে অব্যাহতি দিল আদালত।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমারের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও তার বাবাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তবে মামলার আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এ বিষয়ে আবেদনের শুনানি করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেন। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।'
২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: কাল ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ
তদন্ত শেষে গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধানমণ্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৭ জুলাই বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে বনজ কুমার মজুমদারকে 'দুর্নীতিবাজ' ও 'দুর্নীতিবাজদের অন্যতম হোতা' বলে অভিহিত করা হয়। এতে বলা হয়, বনজ কুমার মজুমদার তার পদমর্যাদা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অবৈধ কাজ করেছেন।
বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলায় বলেন, পোস্টটি তার মানহানি করেছে। তিনি মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, বাবুল আক্তার ও তার ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুকে আসামি করেন।
মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চার্জশিটে বলা হয়, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন পোস্টটি করেছেন। বাবুল আক্তার ও তার ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু পোস্টটিকে প্রচার করেছেন।
আদালতে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী বলেন, পোস্টটি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন করেননি। পোস্টটি তার ফেসবুক পেজে অন্য কেউ করেছিলেন। পোস্টটিতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য।
বাবুল আক্তার ও তার ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর পক্ষে তাদের আইনজীবী বলেন, তারা পোস্টটিকে প্রচার করেননি। তারা বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য।
আদালত বাবুল আক্তার ও তার বাবাকে অব্যাহতি দিয়ে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেয়। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।