সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বসুপাড়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সোনাডাঙ্গা থানার হাজি ইসমাইল রোড হয়ে শতরূপার মোড় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে আবার ইসমাইল রোড হয়ে বসুপাড়ায় এলাকায় আসে। এভাবে দফায় দফায় মিছিল করছেন নেতাকর্মীরা।
সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশার নেতৃত্বে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলে অংশ নিয়েছেন মহানগর যুবলীগ সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আলী আকবর টিপু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজুল হাসান রাজু, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন বিপ্লব, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হওলাদার, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা অপু খান এবং যুবলীগ নেতা মো. হাসান শেখ প্রমুখ।
নগরীর বসুপাড়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়
এ সময় মিছিলে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। স্লোগানে তারা বলেছেন, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা পাকিস্তানে ফিরে যা, ‘বসুপাড়ায় মাটিতে রাজাকারের ঠাঁই নেই, তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ, পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা, বসুপাড়ায় মাটিতে ঘাতকের ঠাঁই হবে না।’
এর আগে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তার মৃত্যুর খবরে খুলনার বসুপাড়ায় দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠকে মরদেহ মাদ্রাসায় আনা এবং অসিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে দাফনের বিষয়ে আলোচনা হয়। জীবদ্দশায় সাঈদীর করে যাওয়া অসিয়ত অনুযায়ী মরদেহ দাফনের জন্য এই মাদ্রাসায় নির্ধারিত স্থান রয়েছে।