চতুর্থ শ্রেণির সেই শিশুটি ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতকটির জন্ম দিয়েছে ১১ বছরের শিশুটি। মা এবং নবজাতক দুজনেই সুস্থ্য আছে।
জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্গিস তানিমা ফেরদৌস ও এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ফেরদৌস রহমানসহ ছয় সদস্যের চিকিৎসক টিম শিশুটির সিজারিয়ান অপারেশন করেন।
গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্গিস তানিমা ফেরদৌস বলেন, প্রসূতি শিশুটির বয়স একেবারেই কম। একারণে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে জরায়ু ছিড়ে যাওয়াসহ নানান ধরণের ঝুঁকি ছিল। একারণে সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে শিশুটির শরীরে রক্তের মাত্রা কম থাকায় দুই ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। অপারেশনের মাধ্যমে ৩ কেজি ওজনের ফুটফুটে সন্তান জন্ম দিয়েছে ওই শিশু। অপারেশন পরবর্তী সময়ে দুজনেই সুস্থ্য রয়েছে।
নবজাতককে কোলে নিয়ে শিশুটির চাচি অভিযোগ করেন, নবজাতক জন্ম নিয়েছে ঠিকই, তবে পরিচয় নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। পিতা-মাতা হারা শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশি দাদা জাহিদুল খাঁ (৫৫)। জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হলেও বিচার পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে পরিবারে। কারণ জাহিদুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে হুমকি দিচ্ছে তার স্বজনেরা।
উল্লেখ্য- এর আগে ২৩ আগস্ট বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ‘‘শিশুর পেটে জন্ম নিচ্ছে আরেক শিশু’’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তার ৩ দিনের মাথায় র্যাবের অভিযানে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রাম থেকে ধর্ষক জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষক জাহিদুল খাঁ গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের কালু খাঁর ছেলে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হচ্ছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগি শিশুর পরিবারকে সব ধরণের আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।