ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ভারতীয় অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাতে হাতকড়া, পায়ে বেড়ি পরিয়ে ফেরত পাঠানোর নিন্দা জানানোর পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে মোদি যেভাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন, তা নিয়েই সম্প্রতি একটি কার্টুন ছাপে ‘ভিকাতান’ নামে তামিল একটি গণমাধ্যম। সেখানে ট্রাম্পের সামনে শিকলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মোদি বসে রয়েছেন- এমনভাবে ছাপা হয়েছিল ব্যঙ্গচিত্রটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুনটি ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। এরপর তামিলনাড়ু বিজেপি’র তরফে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়।
রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি কে আন্নামালাই জানান, প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগানের সঙ্গেও দেখা করে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। এরপর থেকেই ভিকাতান-এর ওয়েবসাইটটি খোলা যাচ্ছে না বলে একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, কী কারণে ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হলো, নির্দিষ্ট কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয়।
‘ভিকাতান’ নামে তামিল গণমাধ্যমটির বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নীতি মেনে কাজ করে এসেছি আমরা। আমরা বরাবর বাকস্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম এবং আগামী দিনেও থাকব।
এ নিয়ে সরব হয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ভিকাতান-এর ওয়েবসাইটটি অচল করে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ১০০ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছে ওরা। মত প্রকাশের জন্য সংবাদমাধ্যমকে ব্লক করে দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। বিজেপির ফ্যাসিবাসী আচরণের পরিচয় এটা। অবিলম্বে ওয়েবসাইটটি চালু করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এছাড়া, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির বলেন, সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করা, গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরা এক জিনিস। শতবর্ষের ভিকাতান-এর ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি। অবিলম্বে ওয়েবসাইটটি পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। আসুন, একজোট হয়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সরব হই। তবে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম।