রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটে কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পন্টুনে আটকে যাওয়ার ঘটনায় ১২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। শনিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কাভার্ডভ্যানটি পন্টুনে আটকে যাওয়ার ফলে ওই ফেরিঘাট দিয়ে যানবাহনের ওঠানামা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ট্রাকটি উদ্ধার করার পর ঘাটটি পুনরায় চালু করা হয়।
কাভার্ডভ্যানের চালক ফিরোজ আহমেদ জানান, সংযোগ সড়ক দিয়ে ফেরিতে ওঠার সময় হঠাৎ ব্রেক বিকল হয়ে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি পন্টুনের কোণায় আটকে যায়। তিনি আরও জানান, "গাড়িটি যদি পানিতে পড়ে যেত, তাহলে আমাদের বাঁচা কঠিন হতো।"
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৭নং ঘাটের সংযোগ সড়কটি খাড়া এবং জরাজীর্ণ। অতীতে এ রাস্তায় অনেক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা নদীতে পড়ে গেছে। এসব দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। কয়েকজন চালক ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেও দায়ী করেছেন।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, "রাত দেড়টার দিকে গাড়িটি ফেরিতে লোড হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পন্টুনের পাশে আটকে যায়। নদীতে যাতে গাড়িটি পড়ে না যায়, সেজন্য ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।"
বর্তমানে দৌলতদিয়া প্রান্তে তিনটি ফেরিঘাট চালু রয়েছে এবং রুটে ১৪টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে।